বড় কাজকে ভাগ করে নেই
বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নেই। একবারে সব কাজ করে ফেলার চেষ্টা করব না। প্রথমে সহজ কাজগুলো দিয়ে শুরুর করব। প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য নিজেকে কৃতিত্ব দেব।
নিজেকে নিয়ে ইতিবাচক ভাবি
নিজের জীবনের ভাল দিকগুলো নিয়ে কিছু সময় ভাবি। প্রতিদিন কী কী ভাল ঘটনা ঘটেছে তা লক্ষ করি। দিন শেষে তিনটি জিনিসের একটি লিস্ট তৈরি করি যার জন্য আমি কৃতজ্ঞবোধ করছি।
যে চিন্তাগুলো সাহায্য করছে না, সেগুলোকে চ্যালেঞ্জ করি
আমাদের চিন্তা আমাদের অনুভূতিকে প্রভাবিত করে। তাই নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করি। ইতিবাচক চিন্তার অভ্যাস গড়ে তুলি।
আরও সক্রিয় হই
নিয়মিত শরীর চর্চা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত হাঁটা, বাগান করা, ঘর গুছানো, রান্না করার মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে সক্রিয় রাখতে পারি। সক্রিয়তা আমাদের ভিতরে থাকা নেতিবাচক বোধটাকে কমিয়ে ফেলে। এর ফলে মানসিক চাপ দূর হয়ে যায় না তবে কমে।
কারও সাথে কথা বলি
বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা সহকর্মীর সাথে মানসিক চাপ নিয়ে কথা বলি। স্ট্রেস বা চাপ কোন মানসিক রোগ নয়। তবে বেশিদিন ধরে চাপের মধ্যে থাকলে তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং সহায়তা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
পরিকল্পনা করি
আগামী দিনে আসন্ন কোন কাজ যা মানসিক চাপ বাড়াতে পারে, এমন কিছু থাকলে তা নিয়ে একটু পরিকল্পনা করি। প্রতিদিনের একটা কর্মতালিকা তৈরি করি। গুরুত্ব ও প্রয়োজন অনুযায়ী কোন কাজ কখন করতে হবে তা সাজাই। আগামীকাল কোথায়, কখন, কোন কাজ করতে হবে ও সেজন্য কী কী লাগবে তার একটা তালিকা তৈরি করে রাখি। এ ধরনের ছোট ছোট বিষয়গুলো চাপ কমাতে অনেক সাহায্য করতে পারে।