উদ্বিগ্নতাকে বোঝার চেষ্টা করি
সারা দিনে কোন বিষয় বা কাজগুলো আমার ভেতর উদ্বিগ্নতা তৈরি করেছে এবং তার ফলে আমি কেমন অনুভব করেছি সেসব একটি ডায়েরীতে লিখে রাখি। এতে করে উদ্বেগ মোকাবেলায় আমার করনীয় কী তা কিছুটা হলেও খুঁজে বের করতে পারব।
উদ্বিগ্নতার পেছনের চিন্তাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করি
দুশ্চিন্তাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করি। অর্থাৎ যখন আমি উদ্বিগ্নবোধ করছি, তখন সেই উদ্বিগ্নতার পেছনে কী কী দুশ্চিন্তা কাজ করছে তা ভেবে বের করি; এরপর ওই দুশ্চিন্তাগুলো করার পেছনে কোন যুক্তি, প্রমাণ বা পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা প্রভাব ফেলছে কি না তা খুঁজে দেখি।
সমস্যা নয় বরং সমাধান নিয়ে চিন্তা করি
সমস্যা নয় বরং এর সমাধানের কৌশলগুলো নিয়ে ভাবি। এতে করে উদ্বিগ্নতা মোকাবেলায় যে চ্যালেঞ্জ অনুভব করছি তা সহজ হয়ে যাবে। দিনের একটা সময়কে ‘দুশ্চিন্তার সময়’ হিসেবে রেখে দেই, যাতে করে দুশ্চিন্তার কারণ ও দুশ্চিন্তা মোকাবেলার অন্যান্য অপশন বা সম্ভাবনাগুলোর দিকে মনোযোগী হতে পারি।
ভিন্ন বিষয়ে মনোযোগ দেই
কারও কারও জন্য শিথিলায়ন, মনোযোগ বাড়ানোর অনুশীলন বা শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়াম অনেক উপকারী হয়। এগুলো দুশ্চিন্তা কমায় এবং বর্তমানে মনোযোগী হতে সহায়তা করে।
ইতিবাচক চিন্তা করি
নিজের মধ্যে উদ্বিগ্নতা সৃষ্টিকারী নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে ইতিবাচক চিন্তা দিয়ে প্রতিস্থাপন করি। এই প্রক্রিয়ার নিয়মিত অনুশীলন আমাকে আরাম বোধ করতে, নিজের ভেতর এক ধরনের সহনশীলতা তৈরি করতে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
সমস্যা না এড়িয়ে তার মুখোমুখি হই
পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া সহজ। নিজের অভ্যস্ত বিষয়গুলোর ওপরে নির্ভরশীলতা আমাদের নিশ্চিন্তবোধ করায়, তবে এর ফলে উদ্বিগ্নতা দূর হয় না। যেসব পরিস্থিতি আমার ভেতর উদ্বিগ্নতা তৈরি করে তার মুখোমুখি হই। দেখব আমার দুশ্চিন্তাগুলো আস্তে আস্তে কমছে এবং একটা সময়ে ওই পরিস্থিতিগুলো আমার ভেতর আর উদ্বিগ্নতা তৈরি করবে না।