ভীতি রোগ হোল কোন নির্দিষ্ট বিষয় বা বস্তুর প্রতি ভীতি থাকায় ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি কিছু নির্দিষ্ট কার্যক্রম এড়িয়ে চলেন বা সেগুলো সীমাবদ্ধ করেন। এ ভীতিগুলো চলমান ও অবাস্তব হয়ে থাকে। সাধারণত অজানা কারণে নির্দিষ্ট স্থান বা ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে এ ভীতি সঞ্চারিত হয় এবং তারা সেসব ঘটনা বা স্থান পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন। সাধারণত যেসব স্থান নিয়ে তাদের ভীতি থাকে, সেগুলো হলো: জনবহুল স্থান, বাস বা ট্রেন ও নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান ।
সামাজিক ভীতি বা সোশ্যাল ফোবিয়া হলো যখন কোনো সামাজিক পরিবেশে ব্যক্তি মনে করেন যে লোকজন তাকে নেতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করছে। ব্যক্তি ভয় পান যে তিনি এমন কিছু বলে বসবেন বা বিব্রতকর আচরণ করবেন, যা নিয়ে সবাই কানাকানি বা হাসাহাসি করবে। এই সময় উদ্বেগের কারণে তারা কথা হারিয়ে ফেলেন বা তোতলান বা অদ্ভুত আচরণ করে বসতে পারেন। তারা ভাবেন যে,সবাই তাকে বোকা ভাবছে। সাধারণত লাজুক শিশুদের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকালে এ ভীতি গড়ে ওঠে। সোশ্যাল ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলেন।
নির্দিষ্ট ভীতি: কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে মানুষের ভীতি থাকতে পারে; যেমন, পোকামাকড় বা উচ্চতার ভয়। নির্দিষ্ট যে বিষয়েই ভীতি থাকুক না কেন, ব্যক্তি ওই বিষয় এড়িয়ে যাবেন। সাধারণত অ্যাগোরাফোবিয়া ও সোশ্যাল ফোবিয়ার তুলনায় এ ধরনের ভীতিগুলো কম গুরুতর হয়ে থাকে। কারণ এ ভীতিগুলো নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত।একিউট স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (এএসডি) এবং পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি)